সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
18 C
Dhaka

উপদেষ্টা মাহফুজের সেই স্ট্যাটাস নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন

0

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতের আসাম-ত্রিপুরাসহ ভারতের কিছু অংশ নিয়ে একটি বিতর্কিত স্ট্যাটাস দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তার এ স্ট্যাটাস ঘিরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, সম্প্রতি ড. ইউনূসের প্রভাবশালী উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের মাস্টারমাইন্ড মাহফুজ আলম পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামসহ ভারতের অংশবিশেষকে নিয়ে একটি বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন। তার এ ধরনের মন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। মার্কিন সরকার এই বিবৃতিটিকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখে কিনা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, তার এমন মন্তব্যের বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনি আমাকে যা পড়ে শোনালেন এর বাইরে এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সাধারণ নিয়মানুসারে আমি যে বিষয়টি দেখিনি তা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

ব্রিফিংয়ে আরও প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার সরাসরি কোনো উত্তর অবশ্য দেননি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে আরও জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ভাগ্যকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র?

জবাবে ম্যাথিও মিলার বলেন, আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সংঘাত এবং এর ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে সহায়তা আমাদের জন্য একটি অগ্রাধিকারের বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার বার্মায় নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানে উদারতা দেখিয়েছে। আমরা রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য সম্প্রদায়ের সদস্যদের যারা দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।

 

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট

0

বহুল আলোচিত চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। সেদিন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

 

শীতের মধ্যেই চার বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

0

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শাহানাজ সুলতানা স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।যার ফলে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এর পরদিন বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ৫ দিনে প্রথমার্ধে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

 

উইন্ডিজকে হারিয়ে টাইগারদের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

0

ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের সুযোগ কেউ দেখছিল না, তবে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজেই বাজিমাত করল টাইগাররা। ক্যারিবীয়দের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারানোর পর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় ছিনিয়ে এনেছে লিটন দাসের দল। যার ফলে উইন্ডিজে ঐতিহাসিক এক সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ১০২ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ফলে ২৭ রানের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৯ রান। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন শামীম হোসেন। ১৭ বলে ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংসে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেন তিনি। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৪৫ রান সংগ্রহ করা বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে তোলে ৮৪ রান।

রান তাড়া করতে নেমে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের শুরু থেকেই কঠিন পরীক্ষা নেয় বাংলাদেশি বোলাররা। তাসকিন আহমেদ নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং এবং আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জবাব দিতে ব্যর্থ হন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটাররাও। জনসন চার্লস ১৪ রান করলেও নিকোলাস পুরান ফিরে যান শূন্য রানে। শেখ মেহেদী হাসান পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এরপর হাসান মাহমুদ এবং তানজিম হাসান সাকিব উইকেট শিকারে যোগ দেন। ক্যারিবীয় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল করেন মাত্র ৬ রান, আর রোমারিও শেফার্ড আউট হন শূন্য রানে।

শেষ পর্যন্ত ১৮.৩ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২৭ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।বল হাতে বাংলাদেশি বোলাররা ছিলেন অনবদ্য। তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে শিকার করেন ৩টি উইকেট। শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন এবং তানজিম হাসান সাকিব নেন ২টি করে উইকেট। হাসান মাহমুদ নেন ১টি উইকেট।এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

 

সাকিব আল হাসানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতের সমন জারি

0

আইএফআইসি ব্যাংকের চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।

বিস্তারিত আসছে-

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও নির্বাচন ইস্যু

0

আবারও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশের সমসাময়িক কয়েকটি ইস্যু এদিন ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এসব প্রশ্নের জবাবও দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) অয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার সরাসরি কোনো উত্তর অবশ্য দেননি। পরবর্তীতে এ বিষয়ে উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে আরও জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ভাগ্যকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র?

জবাবে ম্যাথিও মিলার বলেন, আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সংঘাত এবং এর ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে সহায়তা আমাদের জন্য একটি অগ্রাধিকারের বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকার বার্মায় নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানে উদারতা দেখিয়েছে। আমরা রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমারের অন্যান্য সম্প্রদায়ের সদস্যদের যারা দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।

এর আগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বলেন, আগামী বছর ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে।

ড. ইউনূস বলেন, যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।

 

সাদ-যোবায়েরপন্থিদের যে বার্তা দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ

0

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত এবং আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে শান্ত ও ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না করে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান করছি। তাবলিগ একটি দ্বীনি ও ধর্মীয় ইস্যু। ফলে আমরা মনে করি, তাবলিগসহ ধর্মীয় সব বিষয়াদি ওলামায়ে কেরামের মাধ্যমেই সুরাহা ও মীমাংসিত হবে।

তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়ভার আমাদের প্রত্যেকটি নাগরিকের। দেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও অবস্থানের জন্য আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবো।

হাসনাত বলেন, সাদপন্থি সমর্থিত ‘সচেতন ছাত্র সমাজের’ দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি এবং সকাল ১০টার মধ্যে মাওলানা সাদের ভিসার জন্য বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণার কারণে আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সাদপন্থিদের সাথে আলোচনার জন্য টঙ্গী যাই। সেখানে আলোচনা শেষে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এবং মাওলানা সাদের ভিসা জটিলতা নিরসনে পুনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

তিনি বলেন, আলোচনায় আমরা এটাও স্পষ্ট করি যে, এগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। এ বিষয়ে কাকরাইলে মাওলানা জুবায়ের সাহেব এবং ওলামায়ে কেরামের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে। এ উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার রাত ২টায় কাকরাইলে আলোচনার জন্য যাই। সেখানে মাওলানা মাহফুজুল হক ও মাওলানা মামুনুল হকসহ অন্য আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সেখানে পৌঁছানোর পর সাদপন্থি একজন মুফতির একটি পোস্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়, যেখানে খণ্ডিত ভিডিও প্রচার করে বলা হয়েছে আমরা নাকি তাদের জোর করার অনুমতি দিয়েছি। এটি আমাদের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিপরীত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ নেতা বলেন, কাকরাইলে আলোচনাকালীন সেখানে আলেমদের উপস্থিতিতে আমরা তাদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছি যে, আমরা কোনো কর্তৃপক্ষ নই। আমরা আলোচনা করে কাকরাইল থেকে টঙ্গী গিয়ে কথা বলব এবং এরপর পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি বলেন, আলোচনার মাঝেও সাদপন্থি ওই মুফতিকে ফোন দিয়ে বলেছি, আপনারা যদি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করেন, তাহলে আমাদের সাথে আপনাদের সম্পর্ক থাকবে না। আমরা কাকরাইলে আলেমদের উপস্থিতিতে সাদপন্থিদের আরও বলেছি, কোনোভাবেই আপনারা ময়দানে প্রবেশ করবেন না এবং আমাদের নিয়ে যে ভিডিও প্রচার করেছেন, তা মুছে ফেলবেন। কিন্তু এর আগেই এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

এর আগে বুধবার ভোর রাত থেকে দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০)।

স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবের সাদপন্থিরাও পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বহু হতাহত হয়।

 

টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

0

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।এর আগে বুধবার ভোর রাত থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।

নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৭০)।

আহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা আব্দুর রউফ (৫৫), ময়মনসিংহের মজিবুর রহমান (৫৮), আব্দুল হান্নান (৬০), টঙ্গীর জহুরুল ইসলাম (৩৮), গোপালগঞ্জের আরিফ (৩৪), সাভারের ফয়সাল (২৮), নরসিংদীর তরিকুল (৪২), চট্টগ্রামের সাহেদ (৪৪), নরসিংদীর উকিল মিয়া (৫৮), টঙ্গীর পান্ত (৫৫), খোরশেদ আলম (৫০), কেরানীগঞ্জের বেলাল (৩৪), নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), সাভারের আনোয়ার (২৬), নোয়াখালীর আনোয়ার (৭৬) ও সাতক্ষীরার ফোরকান আহমেদ (৩৫)। আহত বাকিদের নাম জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থিরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবের সাদপন্থিরাও পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বহু হতাহত হয়।

মাওলানা যোবায়েরপন্থি তাবলীগ জামাত (শুয়ারী নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মাওলানা যোবায়েরকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে জানানো হয়, বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দুপুর ১২টায় আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসবেন এবং বিশ্ব ইজতেমা মাঠের বিষয়ে সুন্দর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। ভোর রাত ৩টার দিকে আমরা খবর পাই সারা দেশ থেকে সাদপন্থি মুসল্লিরা টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশে বেলাল মসজিদে অবস্থান করছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের নতুন, পুরাতন সাথী জমা করে ধারালো অস্ত্রসহ তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ময়দানের বিদেশি গেট ভেঙে ময়দানের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়েরপন্থি মুসল্লিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সাদপন্থিরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

 

জাতির পিতা, ৭ মার্চসহ কয়েকটি বিষয় সংসদের জন্য রেখে দিয়েছেন আদালত

0

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। এই সংশোধনীর কিছু অংশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। জাতির জনক, ৭ মার্চসহ এর কয়েকটি ধারা ভবিষ্যৎ সংসদের জন্য রেখেছেন আদালত।

আইনজীবীরা জানান, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা আদালত বাতিল করেননি। আদালত বাকিগুলো ভবিষ্যৎ সংসদের জন্য রেখে দিয়েছেন।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তিসংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণা করেন আদালত।

রায়ের পর রিটকারীর আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, তারা পঞ্চদশ সংশোধনী সম্পূর্ণ বাতিল চেয়েছিলেন। আদালত বেশ কয়েকটি ধারা বাতিল করলেও অন্যগুলো বাতিল করেননি। আদালত বলেছেন, বাকিগুলোর বৈধতাও তিনি দিচ্ছেন না। সেগুলো ভবিষ্যৎ সংসদের জন্য রেখে দিয়েছেন। ভবিষ্যৎ সংসদ জাতির প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো রাখতে পারে অথবা বাতিল করতে পারে।

এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আদালত বিষয়টি রাজনীতিবিদদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। এটি অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান সিদ্ধান্ত। সার্বিকভাবে এটি ঐতিহাসিক রায়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

একই সঙ্গে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার।

 

বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে ভারত

0

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দৈনিক সমকাল।

সমকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় জিরো পয়েন্টে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। বাহিনীটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে। এমন আশঙ্কায় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারে ঘিরে ফেলা হচ্ছে।

এতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি থেকে মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকাজুড়ে দুদিন ধরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করেছে ভারত। এর আগে ভোমরা সীমান্তের কাছে বসিরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গিয়ে বিজিবির বাঁধার সম্মুখীন হয় বিএসএফ। তবে জলপাইগুড়িতে নির্বিঘ্নে চলছে নির্মাণকাজ।

জলপাইগুড়ি লোকসভার সংসদ সদস্য ডা. জয়ন্ত কুমার রায় জানান, ‘কাঁটাতারের বেড়াবিহীন এলাকার মধ্যে কিছু অংশে নদী রয়েছে, সেই জায়গা বাদ দিয়ে বাকি এলাকায় বেড়া দেওয়ার বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করেছিলাম। বর্তমানে কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। কাঁটাতারের বেড়া লাগানোর কাজটি সম্পন্ন হলে ভারতীয় সীমান্ত গ্রামগুলোতে বসবাসকারী নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়বে।’

জয়ন্ত কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে। তিনি বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতার মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়, আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে টুকরো টুকরো হয়ে যাব এটা কাম্য নয়।’