শনিবার, নভেম্বর ১, ২০২৫
শনিবার, নভেম্বর ১, ২০২৫
27 C
Dhaka

মা-মেয়ের লা/শ উদ্ধার করলো পুলিশ!

0

বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফটিকছড়ি পৌরসদরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে অবস্থিত কামাল ভবনে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।নিহত গৃহবধূর নাম আফরোজা আফরিন (২৬)। তিনি মো. আনোয়ার হোসেন বিবলুর স্ত্রী। শিশুটির নাম আতকিয়া আয়েশা, বয়স মাত্র ১৬ মাস।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে আফরোজা আফরিন তার শিশুকন্যাকে গোসল করানোর কথা বলে শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করেন। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা খুলতে চেষ্টা    করেও ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে লোহার দরজা ভেঙে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত আফরিনের শ্বশুর কামাল উদ্দিন জানান, তার পুত্রবধূ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। হয়তো সেই মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণেই তিনি এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ফটিকছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গৃহবধূ আফরোজা আফরিন আত্মহত্যার আগে তার শিশুকন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শিশুর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর ডিম কোনটি ?

0

বাচ্চার সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ডিম এক অনন্য খাদ্য। এতে থাকে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কোলিন এবং নানা ভিটামিনযা মস্তিষ্ক, হাড় ও শরীরের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে সব ডিমএকরকম নয়। কোন ডিম বাচ্চার জন্য সবচেয়ে উপযোগী, তা জানা জরুরি।

দেশি মুরগির ডিম

  • বিশেষজ্ঞদের মতে, বাচ্চার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর হলো দেশি মুরগির ডিম। এতে প্রোটিন, ওমেগা-৩, কোলিন ও ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। কোনো হরমোন বা কেমিক্যাল ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়।
  • নিয়মিত খেলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • উপযুক্ত বয়স: ৭ মাসের পর থেকে কুসুম দিয়ে শুরু করা উচিত; পরে সাদা অংশ যোগ করা যায়।

কোয়েলের ডিম

ছোট হলেও পুষ্টিতে ভরপুর কোয়েলের ডিমে থাকে আয়রন, ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। এটি হজমেও তুলনামূলক সহজ।
তবে প্রথমবার দেওয়ার সময় অল্প পরিমাণে দিতে হবে, কারণ কিছু শিশুর ক্ষেত্রে এলার্জির ঝুঁকি থাকতে পারে।

উপযুক্ত বয়স: ৮ মাসের পর সিদ্ধ করে কুসুম দিয়ে শুরু করুন।

ব্রয়লার মুরগির ডিম

বাজারে সহজলভ্য ও দামেও কম। একটি ব্রয়লার ডিমে প্রায় ১১ ধরনের খনিজ ও প্রায় ৪০ ক্যালরি শক্তি থাকে। তবে অনেক সময় হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে এগুলো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। রোদে কম থাকার কারণে এতে ভিটামিন-ডি’ও কম থাকে।

হাঁসের ডিম

হাঁসের ডিমে প্রোটিন বেশি থাকলেও কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেশি। ফলে এটি ছোট বাচ্চার জন্য হজমে ভারি হতে পারে।

উপযুক্ত বয়স: ২ বছরের পর অল্প পরিমাণে দেওয়া যেতে পারে।

বিশেষ পরামর্শ

  • শিশুকে সবসময় ভালোভাবে সিদ্ধ করা ডিম দিন।
  • প্রথমবার অল্প পরিমাণে দিন এবং অন্তত ৩ দিন পর্যবেক্ষণ করুন, অ্যালার্জি হচ্ছে কি না।
  • কুসুম দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে সাদা অংশ দিন।
  • পুষ্টি ও নিরাপত্তার দিক থেকে দেশি মুরগির ডিমই বাচ্চার জন্য সেরা।

 

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ৫ম দিনের শুনানি চলছে

0

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের চতুর্থদিনের শুনানি শেষ হয়। এদিন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি শেষ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

গত ২৩ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।

গত ২২ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। ওইদিন রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।

তার আগের দিন ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ জন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ অন্যরা ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৫ সালে আপিল করে রিট আবেদনকারীপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। অন্য চারজন হলেন, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৬ অক্টোবর একটি আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আরেকটি আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

 

থমকে গেল আফগানিস্তান–পাকিস্তান শান্তি আলোচনা,ব্যর্থ হলো শেষ প্রচেষ্টাও

0

তিন দিনের বৈঠকের পর ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমনে হওয়া আলোচনা কার্যত ভেস্তে গেছে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই আলোচনার লক্ষ্য ছিল সীমান্তে সহিংসতা সংঘর্ষের অবসান ঘটানো।

দোহায় প্রথম দফার আলোচনার পর গত ১৯ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে এক সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, সেই চুক্তিকে স্থায়ী শান্তিতে রূপ দিতে দুই পক্ষের গভীর অবিশ্বাস ও রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর আল জাজিরার।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, সোমবারের (২৭ অক্টােবর) বৈঠক প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলে। কিন্তু আফগান প্রতিনিধি দল ইসলামাবাদের মূল দাবি — আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) দমন থেকে সরে আসে। কর্মকর্তাদের দাবি, ‘কাবুলের নির্দেশেই’ আফগান দল বারবার অবস্থান পরিবর্তন করে।

অন্যদিকে কাবুলের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা স্পষ্ট যুক্তি না দিয়ে বারবার বৈঠক ত্যাগ করেছেন, ফলে ‘সমন্বয়ের অভাব’ দেখা দেয়।

আফগান দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক উপমন্ত্রী হাজি নাজিব। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কারা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।

টানাপোড়েনের মূল কারণ : টিটিপি ও সীমান্ত সন্ত্রাস

দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত হামলায় বহু সেনা ও সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে টিটিপি, বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি ও আইএস–খোরাসান (আইএসকেপি)-এর মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে কাবুল। তবে আফগানিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব বলেছেন— ‘সন্ত্রাসবাদের কোনো সার্বজনীন সংজ্ঞা নেই। অনেক সময় রাষ্ট্রগুলো নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে প্রতিপক্ষকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে।’

‘বন্ধুত্ব’ থেকে শত্রুতা

একসময় আফগান তালেবানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাকিস্তানকে দেখা হতো। ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনে ইসলামাবাদ প্রকাশ্যে সন্তোষ জানিয়েছিল। কিন্তু টিটিপি ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক এখন তলানিতে।

২০০৭ সালে গঠিত টিটিপি পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আসছে। সংগঠনটি পাকিস্তানে বন্দি তাদের সদস্যদের মুক্তি ও সীমান্তবর্তী উপজাতীয় অঞ্চলগুলোর পুরনো মর্যাদা ফেরানোর দাবি জানিয়ে আসছে।

পাকিস্তানি বিশ্লেষক ইহসানুল্লাহ টিপু মেহসুদ বলেন, ‘আফগান তালেবান ও টিটিপির সম্পর্ক আদর্শগত, তাই কাবুলের পক্ষে টিটিপিকে সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করা খুবই কঠিন।’

আরেক সাংবাদিক সামি ইউসুফজাই বলেন, ‘আফগান তালেবান অতীতে যেমন আল–কায়েদার পাশে থেকেছে, এবারও তারা তাদের মিত্রদের ছেড়ে যাবে না। এমনকি সামরিক চাপেও তারা পিছু হটে না।’

সম্ভাব্য সামরিক সংঘাত

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ‘ওপেন ওয়ার’ বা উন্মুক্ত যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন। বিশ্লেষক বাকির সাজ্জাদ সাঈদ বলেন, ‘এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে পাকিস্তান আফগান ভূখণ্ডে টিটিপি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালাতে পারে।’

তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, কাতার ও তুরস্ক শেষবারের মতো মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাবে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সংকট প্রশমনে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে

সামরিক শক্তিতে পাকিস্তান এগিয়ে থাকলেও বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ক্ষতির কারণ হতে পারে। ইউসুফজাই বলেন, ‘আফগান তালেবানের পাল্টা হামলাকে আফগান জনগণ শক্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছে, যা তাদের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে।’

ইউসুফজাই সতর্ক করেন, ‘যদি তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুনজাদা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিহাদের আহ্বান জানান, বহু তরুণ আফগান এতে যোগ দিতে পারে। এতে পাকিস্তানের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে।’

সাজ্জাদের মতে, ‘যে কোনো সংঘাতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে টিটিপি, যারা নতুন করে পাকিস্তানি সেনাদের লক্ষ্যবস্তু বানাবে।’

২ কোটি টাকা, মেট্রোরেলে দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

0

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেনআদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।

এর আগে, মেট্রোরেল ও সব ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান নির্ণয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

গত রোববার (২৬ অক্টোবর) ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পিলার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিচে পড়লে আবুল কালাম নামে ওই ব্যক্তি নিহত হন। সোমবার তার মরদেহ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠী গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর পর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, এই মর্মান্তিক ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং পরিবারের সদস্যকে মেট্রোরেলে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

 

খলনায়ক ডন, আইয়ুব বাচ্চুর গান গেয়েই ভাইরাল

0

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফের আলোচনায় ঢাকাই সিনেমার খলনায়ক আশরাফুল হক ডন। সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি এই অভিনেতাকে ঘিরে একদিকে চলছে গ্রেপ্তারের দাবি, অন্যদিকে ভাইরাল হয়েছে তাগাওয়া আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গান ‘এখন অনেক রাত’। গানে প্রশংসা যেমন পেয়েছেন, তেমনি উঠেছে তীব্র সমালোচনার ঝড়।

শোনা যাচ্ছে, দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তারের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। ইমিগ্রেশন পুলিশকেও ইতোমধ্যে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গুঞ্জন, ডন নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন! তবে সেই গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি নিজেই। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে ডন জানিয়েছেন, পালানোর প্রশ্নই আসে না, প্রয়োজনে তিনি আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।

তবে তার এই আত্মসমর্পণের ঘোষণার চেয়েও বেশি আলোচনায় এসেছে একটি গান। সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ডনের গাওয়া আইয়ুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গান ‘এখন অনেক রাত’। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘরোয়া পরিবেশে মাইক্রোফোন হাতে গানটি গাইছেন তিনি। মুহূর্তেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গানটি কয়েক লাখ ভিউ ছাড়িয়ে যায়। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘খলনায়ক হয়েও কণ্ঠে দারুণ মাধুর্য।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘গানটা শুনে পুরোনো দিন মনে পড়ে গেল।’

তবে প্রশংসার পাশাপাশি এসেছে তীব্র সমালোচনাও। মন্তব্যের ঘরে অনেকে তাকে সরাসরি ‘সালমান শাহের খুনি’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘গান গাইছেন ভালো, তবে এবার কারাগারে বসে গাওয়ার প্রস্তুতি নিন।’

এদিকে সূত্র জানিয়েছে, সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্তে নতুন মোড় এসেছে। মামলার ১১ আসামির মধ্যে ডনও রয়েছেন। তদন্ত সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন কিছু তথ্য মিলেছে। সেসব যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর রহস্যজনকভাবে মারা যান ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ। আত্মহত্যা না হত্যা এই প্রশ্নে প্রায় তিন দশক পেরিয়ে গেলেও উত্তর আজও মেলেনি।

 

আজ সিরিজে সমতায় ফিরতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল

0

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ম্যাচটি হয়ে উঠেছে বাঁচা-মরার লড়াই। সিরটিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই লিটন দাসের দলের। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি, অনলাইনে দেখা যাবে ট্যাপম্যাড অ্যাপে।

প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের উইকেট রান করার মতো হলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে অলআউট হয় তারা। টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটাররা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। প্রথম ছয় ব্যাটারের মধ্যে দুই অঙ্কে পৌঁছেছিলেন কেবল তানজিদ হাসান তামিম (১৫) ও তাওহিদ হৃদয় (২৮)।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন দাস জানান, বোলাররা ভালো করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতাই হারের মূল কারণ। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। লিটনের ভাষায়, ‘শেষ ওভার ছাড়া পুরো ম্যাচে আমরা ভালো বোলিং করেছি। ভুলগুলো ঠিক করে পরের ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যেই নামব।’

চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে রান করতে হলে এবার ব্যাটারদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষ করে ওপেনারদের ভালো শুরু এনে দিতে হবে দলকে। বিশ্বকাপের আগে বাকি কয়েকটি ম্যাচই বাংলাদেশকে দেবে শেষ প্রস্তুতির সুযোগ, তাই এই ম্যাচে জয়ের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে।

দুই দলের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি ২০ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৮টিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০টিতে; দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। সিরিজে সমতায় ফিরতে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে।

একাদশে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বাংলাদেশ দলে। বিশ্রাম পেতে পারেন শামীম পাটোয়ারী, সুযোগ মিলতে পারে অন্য কোনো মিডলঅর্ডার ব্যাটারের। অপরদিকে, প্রথম ম্যাচের জয়ের কম্বিনেশনই ধরে রাখবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশ দল

লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।

নতুন সুযোগে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ

0

বুধবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো তথ্য বিবরণীতে একথা জানানো হয়েছেএতে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার অন্যান্য কর্মী প্রেরণকারী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য ও সমতা রক্ষা করে বাংলাদেশি বৈধ লাইসেন্সধারী সকল রিক্রুটিং এজেন্টকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে বারবার অনুরোধ জানিয়ে আসছিলো।

গত ২১-২২ মে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ৩য় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদল অন্য দেশের মতো একই সুযোগ প্রদান করার লক্ষ্যে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড নির্ধারণ এবং তা বাংলাদেশকে অবহিত করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ অক্টোবর তাদের নিকট থেকে পত্রে নিম্নরূপ ‘রিক্রুটিং এজেন্ট সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া’ পাওয়া গেছে।

আগামীতে এসব অভিন্নভাবে মানদণ্ডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও মায়ানমারের রিক্রুটিং এজেন্ট ঠিক করা হবে বলেও জানা গেছে।

বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্ট সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া বা মানদণ্ডগুলো:

১. লাইসেন্স প্রাপ্তির পর ন্যূনতম ৫ বছর সন্তোষজনক কার্যক্রম পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

২. বিগত ৫ বছরে বিদেশে ন্যূনপক্ষে ৩,০০০ কর্মী প্রেরণের প্রমাণক থাকতে হবে।

৩. বিগত ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৩টি ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্য দেশে কর্মী প্রেরণ ও কর্মসংস্থানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৪. প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ণ, নিয়োগ এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের বিষয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।

৫. কর্মী প্রেরণকারী দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিক্রুটিং এজেন্সির অনুকূলে সদাচরণের সনদ (Certificate of Good Conduct) থাকতে হবে।

৬. এজেন্সির বিরুদ্ধে জবরদস্তিমূলকভাবে শ্রমে নিয়োগ, মানব পাচার, শ্রম আইন লঙ্ঘন, জোরপূর্বক অর্থ আদায় (extortion), অর্থপাচার বা অন্য কোনো আর্থিক অপরাধ এবং অনৈতিক অভিবাসন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা যাবে না।

৭. সামগ্রিক সুবিধাদিসহ রিক্রুটিং এজেন্সির নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে- যেখানে আবাসন, কারিগরি প্রশিক্ষণ সুবিধাসহ দিকনির্দেশনা মডিউল (Induction module) থাকতে হবে।

৮. এজেন্সির অনুকূলে পৃথক পৃথক ৫ জন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সন্তোষজনকভাবে অভিবাসন কার্যক্রম সম্পাদানের প্রশংসাপত্র থাকতে হবে।

৯. রিক্রুটিং এজেন্সির অবশ্যই কমপক্ষে ৩ বছর যাবৎ পরিচালিত ন্যূনপক্ষে ১০,০০০ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট একটি স্থায়ী অফিস থাকবে, যেখানে কর্মী বাছাই ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার মতো অবকাঠামোগত সুবিধা থাকতে হবে।

১০. রিক্রুটিং এজেন্সির অবশ্যই ইতঃপূর্বে বিদেশে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে গন্তব্য দেশের (মালয়েশিয়াসহ) নিয়োগ প্রক্রিয়ার শর্তাবলি আইনসম্মত ও পদ্ধতিগতভাবে অনুসরণ করার প্রমাণক থাকতে হবে।

উপর্যুক্ত শর্তসমূহ পূরণকারী সকল রিক্রুটিং এজেন্টকে কোনরূপ ব্যত্যয় না ঘটিয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের জন্য তালিকাভুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে।

এমতাবস্থায়, উপরে বর্ণিত ‘নির্ধারিত সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া’ পূরণে সক্ষম বাংলাদেশের বৈধ লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্টসমূহকে আগামী ৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উপরোল্লিখিত কাগজপত্রসহ আবেদন দাখিল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আহবান জানানো হয়েছে।

 

ইইউ বৃহৎ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বাংলাদেশে : রাষ্ট্রদূত মিলার

0

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এ তথ্য জানানরাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনটি এখনও চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকতে পারেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটের প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এবং বাকিরা ভোটের এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের পর এই প্রথম ইইউ বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, ভোটের সময় স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগেও ইইউ সহায়তা করবে।

প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উভয়পক্ষ সাংবিধানিক সংস্কার, নির্বাচন প্রস্তুতি, বিচার বিভাগ ও শ্রম খাতের সংস্কার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক এবং দেশের সার্বিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে।

রাষ্ট্রদূত মিলার জুলাই জাতীয় সনদকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে মসৃণ করতে সহায়ক হবে।

তিনি সম্প্রতি অনুমোদিত শ্রম আইন সংস্কার এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদারের পদক্ষেপগুলোকেও ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হিসেবে অভিহিত করেন।

‘এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ইইউর অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

মিলার আসন্ন নির্বাচনকে ‘দেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের সুযোগ’ বলে মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইইউ বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বৈঠকে উভয়পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির সম্ভাবনা এবং বিমান ও নৌ পরিবহন খাতে নতুন সুযোগ অনুসন্ধানের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ ছাড়া মানব পাচার ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে তারা একমত হন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া টার্মিনালের উন্নয়ন ও পরিচালনায় বৈশ্বিক শিপিং কোম্পানি এ.পি. মোলারমায়ার্সকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ডেনমার্কের এই প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে লালদিয়াকে এ অঞ্চলের অন্যতম আধুনিক টার্মিনালে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।

বৈঠকে নির্বাচনী পরিবেশ, প্রার্থীদের যোগ্যতা ও মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়। সূত্র: বাসস

 

ট্রাম্প-শির মধ্যে উত্তেজনা কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ

0

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টােবর) দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংজু শহরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের শীর্ষনেতার এ বৈঠক ঘিরে বিশ্বজুড়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছেবিশ্লেষকদের মতে, বৈঠকে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের গভীর বাণিজ্যিক ও ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সমাধান আপাতত দৃষ্টিগোচর নয়। বরং এ বৈঠক মূলত উত্তেজনা কমানোর জন্যই বেশি প্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন তারা। খবর আল জাজিরার।

ট্রাম্প ও শি-র সম্ভাব্য চুক্তির মূল বিষয়গুলো হলো—চীনের বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর পরিকল্পিত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখা, যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি প্রত্যাহার, চীনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন ক্রয় বৃদ্ধি, মাদক তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক রপ্তানি রোধে যৌথ উদ্যোগ এবং টিকটক চুক্তিতে সম্মতি।

তবে এসব পদক্ষেপে সাময়িক স্বস্তি এলেও বিদ্যমান শুল্ক, নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বহাল থাকায় দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের মৌলিক পরিবর্তন ঘটবে না। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের ওপর গড়ে ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ রয়েছে, আর চীনে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ৩২ শতাংশের কাছাকাছি।

ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে শত শত চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, যেগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীনও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘অবিশ্বস্ত’ তালিকায় যুক্ত করেছে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাতু ও খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।

এদিকে সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি ২৭ শতাংশ কমেছে, যা টানা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে আমদানি কমেছে ১৬ শতাংশ।

বেইজিংয়ের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াং ওয়েন মনে করেন, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক দ্বন্দ্ব এখনো অমীমাংসিত। ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে। তবে চীনের শক্তি ক্রমেই বাড়ছে এবং একসময় তা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প ও শি-র বৈঠকে আপাতত কোনো বড় চুক্তি না হলেও, উভয় পক্ষের সাময়িক সমঝোতা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতি আনতে পারে। তবে দুই দেশের সম্পর্কের মূল টানাপোড়েন – প্রযুক্তি, বাণিজ্য ও ভূরাজনীতির প্রতিযোগিতা – অদূর ভবিষ্যতে কমার সম্ভাবনা খুবই কম।

জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেনিস ওয়াইল্ডার বলেন, ‘বৈঠক থেকে কিছু ইতিবাচক বার্তা পাওয়া যেতে পারে, তবে এটি বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি নয়। ট্রাম্পের সম্ভাব্য চীন সফর পর্যন্ত আলোচনা চলবে।’

ওয়াইল্ডার আরও বলেন, ‘চীন চায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আর যুক্তরাষ্ট্র চায় আধিপত্য। এই বৈপরীত্য দূর না হলে সম্পর্কের প্রকৃত উন্নতি সম্ভব নয়।’